রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গত শুক্রবার নাজমুল নামের এক তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই তরুণের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে জানা গেল, মেট্রোরেল প্রকল্প থেকে মালামাল চুরি করতে গিয়ে রাজধানীর তুরাগ এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গীরা লাশ সেখানে রেখেই পালিয়ে যান। আজ মঙ্গলবার সকালে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।
র্যাবের অধিনায়ক বলেন, ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণ সাধারণত খোলা জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়। একটি সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি দল কৌশলে সেই মালামাল চুরি করে। নিহত নাজমুলও এই সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য। চক্রটির আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
মোজাম্মেল হক জানান, গতকাল সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪–এর একটি দল রাজধানীর পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন মো. আশিক (১৯) ও মো. হারুন (৪০)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চোরাই মালামালসহ একটি পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানায়, নিহত নাজমুল ছাড়াও রাসেল এবং শামীম নামের আরও দুজন তাঁদের সঙ্গে এ ধরনের কাজ (চুরি) করতেন। তাঁরা আরও জানান, তুরাগে বিদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নাজমুলের মৃত্যু হয়। পরে তাঁরা নাজমুলকে সেখানেই রেখে পালিয়ে যান।
র্যাব জানায়, নিহত নাজমুলের পরিবারের একটি সাধারণ ডায়েরি থেকে তারা জানতে পারে যে ১৬ সেপ্টেম্বর নাজমুল মিরপুরের বাসা থেকে কাজের সন্ধানে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর তুরাগ থানা এলাকা থেকে নাজমুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে পুলিশ। নাজমুলের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে র্যাবের একটি দল ছায়াতদন্ত শুরু করে।
র্যাব বলছে, এ চক্রটি বেশ কিছু দিন ধরে মেট্রোরেলের মালামালসহ অন্যান্য সরকারি কাজের মালামাল এবং বৈদ্যুতিক তার চুরির কাজ করে আসছিল। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছেন তাঁরা।