বিশেষ একজন মানুষ আরেকজন মানুষের ক্রাশ হতে পারেন, তাই বলে একটা দেশের ক্রাশ! তাই কখনো হয় নাকি? অথচ তা–ই করেছে গুগল। এপ্রিলে দক্ষিণি অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানাকে ভারতের ‘জাতীয় ক্রাশ’ ঘোষণা করেছে তারা। ঘটনার এখানেই শেষ নয়, বিষয়টাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য এখন উঠে পড়ে লেগেছেন তাঁর ভক্তরা। অনলাইন দুনিয়ায় রীতিমতো আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। বিষয়টাকে রাশমিকা কী চোখে দেখেন? ‘আমি আসলে জানি না কোথা থেকে এর শুরু। মনে হয় প্রথম দিকে আমাকে কর্ণাটক ক্রাশ বলত। সেখান থেকে জাতীয় ক্রাশ। এটা দিয়ে আসলে কী বোঝায়, তা–ও আমি জানি না,’ মুখে একরাশ হাসি নিয়ে জানালেন রাশমিকা মান্দানা।
সাধারণত দক্ষিণ ভারতীয় তারকাদের বেশির ভাগই তামিল ও তেলেগু ছবি দিয়ে জনপ্রিয়। কিন্তু রাশমিকার শুরু কন্নড় সিনেমা দিয়ে। তারপর তেলেগু ও তামিল। মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতে যদিও ঢোকা হয়নি। কেন? ‘যে ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করব, সেই ইন্ডাস্ট্রির ভাষা রপ্ত করাটা খুব জরুরি,’ রাশমিকার উত্তর। রাশমিকা মান্দানাকে এখন অনেকে আর রাশমিকা বলেও চেনেন না। চেনেন চরিত্রের নামে। ২০১৬ থেকে ২০২১, পাঁচ বছরে ছবির সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি। কিরিক পার্টির সানভি, গীতা গোবিন্দম-এর গীতা আর ডিয়ার কমরেড-এর লিলিকেই তো বেশি চেনেন মানুষ।
যদিও কন্নড়, তামিল আর তেলেগু ভাষার ছবি, কিন্তু হিন্দি ডাবিংয়ের দৌলতে আর ইউটিউবের কল্যাণে বলিউড দর্শকের কাছেও দারুণ জনপ্রিয়। আর এখন তো সরাসরিই বলিউডে ঝুঁকছেন কর্ণাটকের এই অভিনেত্রী। বলিউডে তাঁর অভিষেক ছবি মিশন মজনু। বিপরীতে আছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। অন্যদিকে গুডবাই ছবিতে তাঁর সহশিল্পী অমিতাভ বচ্চন।